নারী এবং শিশু | আজাদি কা অমৃত মহোৎসব, ভারত সরকার।

নারী এবং শিশু

Women and Children

নারী এবং শিশু

শিশুদের বিকাশে বিনিয়োগ করা যে কোনো জাতির জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার চাবিকাঠি। শিশুদের মূল্যবোধ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সরাসরি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকগুলিকে প্রভাবিত করে এবং এর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও গড়ে তোলে। তাই শিশুদের নাগরিক, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার সুযোগ; স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিকতম উন্নয়নের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ (বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, শিল্পকলা, শিক্ষাগত ইত্যাদি) থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। যদিও শিশুদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, কিন্তু বিশেষ করে গ্রামীণ ও নানা জনজাতীয় সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্যানিটেশন, শিক্ষাসহ অনেক ক্ষেত্রে কাজ করা বাকি রয়েছে।

একইভাবে, পরিবারের মধ্যে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই - যে কোনো জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতি পরিমাপের জন্য মহিলারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় প্রেক্ষাপটে, নারী আন্দোলন অনেক দূর এগিয়েছে, শিক্ষা এবং কন্যা শিশুর স্বাস্থ্যের মতো অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারের নানা এজেন্সি এবং প্রকল্প, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, স্বতন্ত্র মহিলারা যাঁরা তাঁদের সামঞ্জস্য রক্ষার মাধ্যমে ভারতের বুননকে বদলেছেন, তাঁদের এই বিষয়ে সমস্ত স্তরে প্রচেষ্টার ফল।

শিশু উন্নয়ন

ভারতে শিশু বিকাশে উন্নতির জন্য যে ক্ষেত্রগুলিতে মনোযোগ প্রয়োজন সেগুলি নিচে উল্লেখ করা হয়েছে:

পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা

  • শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা, বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকায়; স্কুলে মিড-ডে মিল ইত্যাদি
  • মাতৃস্বাস্থ্য এবং সন্তান উৎপাদনকালীন যত্ন সম্পর্কে সচেতনতা; মায়েদের হোম কাউন্সেলিং; ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যপরিষেবা পণ্যের যোগান; গ্রামীণ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি কিট সরবরাহ ইত্যাদি
  • নানা সংক্রামক রোগ এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, নিউমোনিয়া এবং হেপাটাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা; গ্রামীণ এলাকায় টিকাদান; পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি হস্তক্ষেপ ইত্যাদি
  • বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্থিতিস্থাপকতা স্বীকার করা ইত্যাদি।
  • মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা, মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার দ্বিধা দূর করা ইত্যাদি।

শিক্ষা

বুনিয়াদি শিক্ষার ব্যবস্থা; গ্রামীণ বিদ্যালয়ে উৎকৃষ্ট পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য সরঞ্জামের যোগান; গ্রামীণ মেয়েদের জন্য গৃহস্থালির কাজ করার চাপ সম্পর্কে সচেতনতা; নেতৃত্বের দক্ষতা; স্কুলে শিশুদের ধরে রাখা; বৃত্তিমূলক শিক্ষা; পড়ার অভ্যাস উন্নত করা এবং প্রাথমিক গাণিতিক দক্ষতা প্রদান; কর্মমুখী দক্ষতা প্রশিক্ষণ; প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বিদ্যালয় সরঞ্জাম যেমন ই-বুক এবং কম্পিউটার ইত্যাদি সরবরাহ।

  • শৈশব বিকাশ: জন্মের আগে থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়স পর্যন্ত পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা, খেলার মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা, পরীক্ষার চাপ মোকাবেলা এবং প্রস্তুতি, তাদের কার্যকলাপ এবং সময়সূচী নিয়ে শিশুদের সঙ্গে দৈনন্দিন মিথস্ক্রিয়া বা ইন্টারেক্টিভ সামগ্রিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
  • বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো: ডেস্ক, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সুলভ পরিবহন ব্যবস্থা, ব্রডব্যান্ড সংযোগ, মিড-ডে মিল, গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, খেলার মাঠের মতো প্রয়োজনীয় টেকসই পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব সবুজ স্কুল নির্মাণ ইত্যাদি।
  • অনলাইন শিক্ষা: ডিজিটাল সাক্ষরতা জনপ্রিয় করা, বিস্তৃত বিষয় বেছে নেওয়ার সুবিধা প্রদান, দূরবর্তী শিক্ষা, প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নতি, সময়-ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা ইত্যাদি।
  • শিক্ষক প্রশিক্ষণ: গ্রামীণ এলাকা, টায়ার 2 এবং টায়ার 3 শহরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা; প্রযুক্তির ব্যবহার বোঝা; নানা ক্ষেত্রে পেশাদারীত্ব উন্নয়ন ইত্যাদি
  • খেলাধুলা: শারীরিক ও মানসিক উন্নতি এবং বিকাশ সম্পর্কে সচেতনতা, খেলাধুলায় পেশা গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়ন, উদীয়মান প্রতিভাদের সমর্থন, শারীরিক শিক্ষার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিশুর সর্বাঙ্গীণ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা ইত্যাদি।
  • পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ: শিশুদের অন্যান্য দক্ষতা বৃদ্ধি করা – কথা বলা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সামাজিক, ইন্টারেক্টিভ সময়-ব্যবস্থাপনা, দলগত মনোভাব, সুস্থ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
  • ডিজিটাল ডিটক্স: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং অত্যধিক স্ক্রিন টাইম সম্পর্কে সচেতনতা, নিদ্রা চক্রের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা ইত্যাদি।
  • গুন্ডামি প্রতিরোধ: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বছরগুলিতে ধমকানো নিয়ে সচেতনতা, অ্যান্টি-বুলিং কমিটি গঠন, প্রয়োজনে শিশুদের জন্য কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা, স্কুল/কলেজে ইতিবাচক আবহ গড়ে তোলাকে উত্সাহিত করা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান ইত্যাদি।
  • ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং: বিভিন্ন পেশাক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, কার্যকর রোজগারের সুযোগ চিহ্নিত করা, দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, শিল্পোদ্যোগ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলা, বৃত্তি সচেতনতা, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্বেষণ, গাইডেড ক্যারিয়ার মূল্যায়ন, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
  • বক্তৃতা এবং ভাষা: নানা আঞ্চলিক ভাষা শেখা, যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করা, অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বক্তৃতা সমস্যা ইত্যাদির প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
  • বিশেষভাবে-সক্ষম শিশু: ব্রেইল বইয়ের মতো বিশেষ শিক্ষার সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা; বিদ্যালয়ে বিশেষ শৌচাগার এবং র‌্যাম্পের ব্যবস্থা; তাদের ও পেশাদার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি
  • উদাসীনতা হ্রাস: শহুরে এবং গ্রামীণ শিশুদের মধ্যে শিক্ষাগত, পরিকাঠামোগত এবং সামাজিক ব্যবধান দূর করা
  • নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষা: প্রাথমিক আত্মরক্ষার পাঠ, ইভ-টিজিং সম্পর্কে আলোচনা, গণ- যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সর্বজনীন এলাকায় নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে সচেতনতা ইত্যাদি।
  • মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার: কীভাবে শিশুরা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ফাঁদে পড়ে সে সম্পর্কে সচেতনতা (বন্ধুবান্ধবের প্ররোচনা, অনিষ্টকারী উপাদান ইত্যাদি), আচরণগত পরিবর্তন এবং মানসিক টানাপোড়েন সম্পর্কে সচেতনতা, নানা কু-প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা, প্রভাবিত শিশুদের এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের থেরাপি ইত্যাদি।
  • ভারতে শিশু সুরক্ষা আইন সম্পর্কে সচেতনতা: কিশোর-কিশোরীদের ন্যায়বিচার (শিশুদের যত্ন এবং সুরক্ষা আইন ২০০০; শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯; শিশু শ্রম (নিষেধ এবং নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন ২০১৬; বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইন ২০০৬)
  • শিশু শ্রম: শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা যেমন শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন, ২০১৬, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক শোষণ, শিশু পাচার, বিপজ্জনক কাজের পরিবেশ ইত্যাদি।
  • সংস্কৃতি এবং সচেতনতা: ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাস, নানা জনজাতির ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে জ্ঞান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিস্ময়কর ঐতিহ্যের প্রচার, উত্সব উদযাপন, ভাষাগত বৈচিত্র্যের প্রচার, সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্তীকরণ এবং একীকরণ ইত্যাদি।
  • সঙ্গীত: সমৃদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা, আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময়, ভাষা অভিযোজনযোগ্যতা গড়ে তোলা ইত্যাদি।
  • নবীন শিল্পোদ্যোগ এবং উদ্ভাবন: অল্পবয়স থেকেই স্টার্ট-আপের জন্য সম্পদ সম্পর্কে সচেতনতা, দক্ষতা উন্নয়ন, সর্বশেষ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সম্পর্কে জ্ঞান ইত্যাদি।
  • জাতি নির্মাতা হিসেবে শিশুরা: তরুণদের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিতে নানা মঞ্চ গড়ে তোলা, জাতীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা, স্বেচ্ছাসেবকতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
  • সাম্প্রতিক যুব-চালিত বিষয়: নানা সুদূরপ্রসারী ও টেকসই পদক্ষেপ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, লিঙ্গ সমতা, নিরামিষাশী খাদ্য, জাতি গঠন, জল সংরক্ষণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ইত্যাদি।

নারীর ক্ষমতায়ন

ভারতে মহিলাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতির জন্য যেসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং উন্নয়নের প্রয়োজন সেগুলি নিচে উল্লেখ করা হয়েছে:

  • মায়েদের যত্ন: সময়মত চেক-আপ, গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ, গর্ভপাতের ঝুঁকি, গর্ভাবস্থার আগে এবং পরে পুষ্টি সুনিশ্চিত করা, গর্ভাবস্থায় তামাক ও অ্যালকোহল সেবনের বিরূপ প্রভাব, কন্যা শিশু হত্যা ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতনতা।
  • ঋতুস্রাবকালীন যত্ন: ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়, ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধির জন্য ব্যবহার করা উপকরণ ইত্যাদি।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা: পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্ব, কীভাবে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ এড়ানো যায়, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, কিশোরী গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা ইত্যাদি।
  • শিশুর যত্ন: বিভিন্ন বয়সের শিশুদের পুষ্টির চাহিদা সম্পর্কে সচেতনতা (জন্ম থেকে ১ বছর, ১-২ বছর, ২-৫ বছর, ৫-১০ বছর এবং অন্যান্য), সময়মত টিকা দেওয়া, শিশুদের সঠিকভাবে শিক্ষিত করার প্রয়োজন, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ক্রেশ ইত্যাদি।
  • পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য: পুষ্টির ঘাটতি সম্পর্কে সচেতনতা যা রক্তাল্পতা, প্রজনন স্বাস্থ্য, নিজের এবং থাকার জায়গার জন্য স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়, শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি আবেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ইত্যাদি নিয়ে সচেতন করে।
  • শিক্ষা: ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষার আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নানা সরকারি (কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়) প্রকল্প এবং বৃত্তি, পরামর্শ দেওয়া এবং কন্যাসন্তানদের শিক্ষিত করা ইত্যাদি।
  • কর্মজীবন গঠন: কর্মজীবনের বিকল্পগুলি এবং বেতন স্কেল সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কাউন্সেলিং, কর্মজীবনে উন্নতির জন্য পরামর্শদান, বৃত্তিমূলক পাঠক্রম সম্পর্কে সচেতনতা, বৃত্তিমূলক দক্ষতা বিকাশ, বৃত্তি, কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা ইত্যাদি।
  • শিক্ষা: ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষার আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নানা সরকারি (কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়) প্রকল্প এবং বৃত্তি, পরামর্শ দেওয়া এবং কন্যাসন্তানদের শিক্ষিত করা ইত্যাদি।
  • কর্মজীবন গঠন: কর্মজীবনের বিকল্পগুলি এবং বেতন স্কেল সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কাউন্সেলিং, কর্মজীবনে উন্নতির জন্য পরামর্শদান, বৃত্তিমূলক পাঠক্রম সম্পর্কে সচেতনতা, বৃত্তিমূলক দক্ষতা বিকাশ, বৃত্তি, কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা ইত্যাদি।
  • লিঙ্গ পক্ষপাত: সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতনতা যেমন কন্যাশিশু হত্যা এবং বাল্যবিবাহ, স্কুলে শিক্ষা ব্যবস্থায় সমান সুযোগ, কর্মক্ষেত্রের সুযোগ এবং পক্ষপাতিত্ব, কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া ইত্যাদি।
  • আত্মরক্ষা, নিরাপত্তা: মৌলিক প্রতিরক্ষা দক্ষতা, গার্হস্থ্য-হিংসার ক্ষেত্রে নারীর অধিকার, গণ যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সর্বজনীন এলাকায় নিরাপত্তা সতর্কতা সম্পর্কে সচেতনতা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ইত্যাদি।
  • নারী শিল্পোদ্যোগী: স্টার্ট-আপের জন্য অর্থসংস্থান, অর্থ বিনিয়োগের বিকল্প, বিপণন সহায়তা, নেটওয়ার্কিং, নারীকেন্দ্রিক/ নারী নেতৃত্বাধীন ফার্ম এবং ব্র্যান্ড সম্পর্কে সচেতনতা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য/পাঠক্রম আকারে শেখার সুযোগ।
  • আর্থিক স্বাধীনতা: আর্থিক সাক্ষরতা (উদাহরণস্বরূপ, কীভাবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হয় (অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা তোলা ইত্যাদি)), বৃত্তিমূলক দক্ষতার বিকাশ, বিভিন্ন আর্থিক বিনিয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান, সমান কাজের জন্য সমান বেতনের গুরুত্ব ইত্যাদি।
  • ভারতে মেয়েদের এবং মহিলাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা: শিক্ষার অধিকার (ভারতীয় সংবিধানের ৮৬ তম সংশোধনী ২০০২ এবং শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক আইন ২০০৯), শ্রম অধিকার (ফ্যাক্টরি আইন ১৯৪৮), মাতৃত্বকালীন সুবিধা এবং ছুটি (মাতৃত্ব সুবিধা) আইন ১৯৬১), গার্হস্থ্য হিংসা (ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইন ২০০৫ এর মাধ্যমে মহিলাদের সুরক্ষা), যৌতুক জুলুম, বিয়ের জন্য ন্যূনতম আইনি বয়স, সরকারি প্রকল্প এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তথ্য এবং সচেতনতা (সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ২০১৫; বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও ২০১৫, অঙ্গনওয়াড়ি ইত্যাদি। ), আইনি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য।
  • কারিগর: মহিলা কারিগরদের (জাতীয়, রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, গ্রামীণ, উপজাতীয় কারিগর) তাঁদের দক্ষতা/বিশেষজ্ঞতা।
  • অন্যান্য ক্ষেত্র: নারী উন্নয়নের স্বার্থে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্র এবং সুযোগগুলি।
read more

Top