জনজাতি উন্নয়ন | আজাদি কা অমৃত মহোৎসব, ভারত সরকার।

জনজাতি উন্নয়ন

Tribal Development

জনজাতি উন্নয়ন

বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়, সারা ভারতে, আমাদের দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ এর ছাতার তলায় বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের অবদান তুলে ধরা হয়েছে।

২০১১ সালের ঐকমত্য অনুসারে, ভারতে জনজাতি জনসংখ্যা ছিল ১০.৪ কোটি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৮.৬%। ভারতের ক্রমবিবর্তনের গাথায়, জাতীয়তাবাদের উত্থানে বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে । স্বাধীনতা সংগ্রামে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।

  • জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামী: ভারতের স্বাধীনতা এবং উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি বিভিন্ন জনজাতির বিশেষ অবদানকে স্মরণ করতে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের তত্ত্বাবধানে ১৫ নভেম্বর, বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷
  • জনজাতি পরিচয়: নগরায়নের কারণে জনজাতি পরিচয়ের অনুপম বৈশিষ্টগুলি ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত এক্সপোজারের অভাব এবং অনেক সময় অন-অভ্যাসের কারণে তাঁদের ভাষা এবং উপভাষাগুলি প্রভাবিত হয়।
  • জনজাতি শিক্ষা: একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল (EMRS) এবং একলব্য মডেল ডে বোর্ডিং স্কুল (EMDBS) জনজাতিদের মধ্যে শিক্ষার পরিবেশ বদলে দিচ্ছে৷ EMRS-প্রকল্পকে আরও গতি দেওয়ার জন্য, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , যেসব ব্লকে ৫০% এর বেশি জনজাতি জনসংখ্যা এবং কমপক্ষে ২০,০০০ জন জনজাতীয় ব্যক্তি রয়েছেন, সেগুলিতে ২০২২সালের মধ্যে একটি করে একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থাকবে।
  • জনজাতি শিল্পদ্যোগী: প্রায়শই দেখা গেছে যে, যথাযথ এক্সপোজার এবং/অথবা শিক্ষার অভাব জনজাতীয়দের সম্ভাব্য সুযোগ থেকে ভালোমতন সুবিধা আহরণে বাধা দেয়।
  • জনজাতি ক্রীড়া: সম্প্রতি দ্যুতি চাঁদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড), মেরি কম (বক্সিং), ভাইচুং ভুটিয়া (ফুটবল), লালরেমসিয়ামি (হকি), বীরেন্দ্র লাকড়া (হকি), ডাংমেই গ্রেস (ফুটবল), থনাকাল গোপী (ম্যারাথন) – এরকম কয়েকটি নাম জনজাতি ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের বিস্ফোরক প্রতিভার উদাহরণ তুলে ধরেছে। নতুন ক্রীড়া প্রতিভা তৈরি করার জন্য একলব্য স্কুলের মাধ্যমে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর স্পোর্টস (কোই ফর স্পোর্টস) স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, মল্লখাম্ব, কালারিপায়াত্তু, গাটকা, থাং-টা, যোগাসন, এবং সিলাম্বাম ইত্যাদির মতো অনেক দেশজ খেলা দেশের গ্রামীণ এবং নানা জনজাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত।

সম্ভাব্য উন্নয়নের এলাকাগুলি

  • জনজাতি প্রতিভা অন্বেষণ: প্রতিভা আবিষ্কার এবং পরামর্শের জন্য নানা মঞ্চ এবং বিভিন্ন উদ্যোগ
  • উপভাষা এবং ভাষা: ২০২২-৩২ সালের মধ্যকালীন সময়কে ইউনেস্কো সমস্ত জনজাতি ভাষার আন্তর্জাতিক দশক হিসাবে ঘোষণা করেছে। নানা জনজাতি ভাষার সংরক্ষণ, চর্চা এবং জনপ্রিয়করণকে ঘিরে নানা উদ্যোগ ও অনুষ্ঠান, সাহিত্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পদ তৈরিতে গুরুত্ব।
  • স্বাস্থ্য ও পুষ্টি: জনজাতিদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে নির্দিষ্ট সমস্যা এবং উদ্বেগকে কেন্দ্র করে উদ্ভাবনী কর্মসূচির নানা ধারণা।
  • শিল্প ও সংস্কৃতি: ভারত জুড়ে বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের অধরা ও অনুপম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টা তুলে ধরা।
  • জনজাতি বিদ্যালয়: প্রথাগত ও অপ্রথাগত শিক্ষায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনজাতি বিদ্যালয়গুলি তাঁদের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
  • জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামী: নানা সেমিনার, উৎসব, অনুষ্ঠানের সিরিজ অনেক অজানা, কম পরিচিত জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন ও সংগ্রাম সম্পর্কে আলোকপাত করে।
  • জীবিকা কর্মসূচী: জনজাতি সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশকে প্রভাবিত করে দক্ষতা উন্নয়ন এবং জীবিকা কর্মসূচি।
  • জনজাতি যুবক-যুবতিদের জন্য শিল্পদ্যোগীএবং প্রযুক্তি: কর্মসূচি যা নানা জনজাতি সম্প্রদায়ের তরুণদের জন্য আয়োজিত শিল্পদ্যোগীএবং প্রযুক্তি কর্মসূচি বৃহত্তর স্বনির্ভরতা এবং প্রযুক্তি সংহতিকরণের ক্ষেত্রে তাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।
read more

Top